ওয়াকফ সম্পত্তি কি? কেন এই ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে? 

বর্তমানে সব থেকে নজরে আসছে দেশ ও দেশের অন্তর্বর্তী সকল জেলা ও রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবাদ। আসলে ওয়াকফ সম্পত্তি কি? কেন এই ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে এত প্রতিবাদের মিছিল বিভিন্ন জেলা থেকে রাজ্য পুরো দেশে চলছে? শুধু তাই নয় অজানা কিছু তথ্য যার মধ্যে থাকছে ওয়াকফ সম্পত্তি কি বিক্রি করা যায়? বা কোরআনে ওয়াকফ কত প্রকার?ওয়াকফ কথাটির অর্থই বা কি? 

WhatsApp গ্রুপ Join Now
Telegram Channel Join Now

ওয়াকফ কথাটির অর্থ কি?

প্রথমত ওয়াকফ কথাটি হচ্ছে “আরবি শব্দ” যাকে বাংলায় ও ওয়াকাফ বা ওয়াকফ বলা হয়। এটি ইসলামিক ধর্মীয় পরিভাষা, যার অর্থ “আল্লাহর নামে নিয়ত করে যে কোন সম্পত্তি বা সম্পদ না ফ্রি পাওয়ার নিয়তে চিরতরে দান করে দেওয়া।”

ওয়াকফ সম্পত্তি কি?

ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বর্তমানে দেশ জুড়ে চলছে আন্দোলন প্রতিবাদের মিছিল। দিকি দিকে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। ওয়াকাফ কি?  ইসলাম ধর্ম অনুসারী মানুষদের একটি সম্পত্তি যা সমাজের উন্নতি প্রকল্পে দান করেন এমন কিছু সম্পদ “এটি হতে পারে জমি, বাড়ি বা অন্যান্য সম্পদ”।  ওয়াকফ সম্পত্তি সবথেকে বেশি হচ্ছে জমি। আর বেশিরভাগ জমি মাদ্রাসা মসজিদ কবরস্থান ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। 

এক কথায় বললে বলা যায় ইসলাম ধর্ম অবলম্বী মানুষদের স্রষ্টা আল্লাহর নামে নিজের যে কোন সম্পদকে চিরস্থায়ী করে দেওয়া। 

আর এই সম্পদ যদি একবার ওয়াকফ হয়ে যায়। তাহলে চিরস্থায়ী ফিরে পাওয়া যায় না। বা যে ব্যক্তি ওয়াকফ করে তার উত্তর সুরিও তার মালিকানা পাবে না। জমিটি বন্ধক  রাখা যাবে না। তবে হ্যাঁ এই জমি থেকে ভাড়া খাটিয়ে বা এই ধরনের কোন উপায়ে তার অর্থটুকু বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা মাদ্রাসা এতিমখানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই ধরনের কাজে ব্যয় করা যায়।

ওয়াকাফ সম্পত্তি বিক্রয় করা যাবে কি? 

ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রয় করা যাবে কি না? অনেকেই না জেনেই বিভিন্ন মত প্রকাশ করেন। ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রয় করা কোনমতেই যাবে না, কেননা? ওয়াকফ সম্পত্তি একবার খোদার নামে বা আল্লাহর নামে দান করলে তা আর ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। যে কাজের জন্য এই দান করা হয় সেই কাজেই ব্যবহৃত হয়। এটি যদি জমি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কবরস্থানের জন্য, সেখানে কবরস্থানেই নির্মাণ করা হয়। এছাড়াও মসজিদ নির্মাণের উদ্দেশ্যে জমিটি ওয়াকফ করলে। সেই জমিটি তে মসজিদেই নির্মাণ হবে। এছাড়াও যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার জন্য জমি ওয়াকফ করেন সেক্ষেত্রেও সেই প্রতিষ্ঠানেই গড়বে সেই জমির উপর। 

এখান থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রয় করা যাবে কিনা সঠিক ধারনা। এটি তো স্পষ্ট এই সম্পত্তি বিক্রয় করা যাবে না। শুধু তাই নয় এই সম্পত্তির মালিকানাও চেঞ্জ হয় না। তাহলে বর্তমান সরকার এই সম্পত্তির উপর কেনই বা আইন পাস করে সরকারের করে নিতে চাইছে এটাই উঠছে আমজনতার মাঝে প্রশ্ন?

প্রথম ওয়াকফ সম্পত্তি কি ছিল? 

উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায় ভারতে প্রথম ওয়াকফ সম্পত্তি ছিল সুলতান মুইজুদ্দিন সাম ঘোর সুলতানের দুটি গ্রাম। এই দুটি গ্রাম মূলত মসজিদ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে উৎসর্গ করেছিলেন জামি মসজিদ নির্মাণ করার জন্য। শাইখুল ইসলামের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই সম্পত্তি। এই সুলতান সময় থেকে ভারতে বিভিন্নভাবে ওয়াকাফ সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। 

ভারতে মোট ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ কত?

একটি রিপোর্ট অনুসারে বর্তমান ভারতে ওয়াকফ বোর্ড এর অধীনে ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তি আছে আর এর মধ্যে ৯.৪ লক্ষ একর জমি পরিচালনা করে ওয়াকফ বোর্ড। এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছেন, তার মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে ৮০ হাজার ৪৮০। এর এলাকা একরে ৮২০১১.৮২ । যদি সব থেকে বেশি সম্পদ দেখা যায় তাহলে চোখে পড়ে মধ্যপ্রদেশ ওয়াকফ বোর্ড ও কর্ণাটক স্টেট বোর্ড অফ ওয়াকফ বোর্ড ।

ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে কেন এত সরকারের দখলদার ও প্রতিবাদ? 

আর্টিকেলটি অসমাপ্ত এর পরিভাষা আরো বাকি রয়েছে খুব শীঘ্রই এডিট করে লেখা হবে।

more content follow home

About Author

সতেজ নিউজ অ্যাডমিন, পড়াশোনার পাশাপাশি খবর লিখতে পছন্দ করে। বিগত ২ বছর সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ধরণের কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছে। চাকরির খবর থেকে শুরু করে-রাজ্য রাজনীতি সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

Leave a Comment