ইতিমধ্যেই বাংলার বাড়ির (Banglar Bari) প্রকল্পের টাকা রাজ্য দেওয়া শুরু করছে ১৭ই ডিসেম্বর থেকে। তবে যখন যোগ্য উপভোক্তাদের চিহ্নিত করতে যাচাই পর্ব চলে তাতেই উঠে এসেছে বর্তমান ভূমিহীন উপভোক্তার সংখ্যা। এবার তাদেরই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১৩ লক্ষ উপভোক্তাকে জমিসহ বাড়ি শীঘ্রই দেবে সরকার।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ভূমিহীনদের জন্য জমির ব্যবস্থা
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কিছু দিন আগে রাজ্য জুড়ে হয় সমীক্ষা আর তাতেই দেখা যায় 12 হাজার 951 জন ভূমিহীন উপভোক্তা যাদের ঘর তোলার মতো জায়গা নেই একেবারেই ভূমিহীন। এবার তাদের বাড়ি করে দেওয়ার জন্য জমির (Provision of land for the landless) ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সুত্র মারফত খবর।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে সমীক্ষায় ভূমিহীনদের সংখ্যা?
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সর্বাধিক ভূমিহীন উপভোক্তা রয়েছে। আর সর্বনিম্ন ভূমিহীন উপভোক্তা রয়েছে উত্তর দিনাজপুরে।
আরো পড়ুন: পুরুষদের জন্য আসতে চলেছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প! কত টাকা মিলবে?
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ভূমিহীনদের মমতার নির্দেশ
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা দেওয়ার ঘোষণা করার সময়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্দেশ দিয়েছিলেন। যাদের মাথা গোজার মত ঠাই নেই, এক কথায় ভূমি নেই তাদের জমির পাট্টা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ভূমিহীনদের জমি চিহ্নিত
যে সমস্ত যোগ্য উপভোক্তা যোগ্য কিন্তু মাথা গোজার জায়গা টুকু নাই, ওই সমস্ত উপভোক্তাদের জমি চিহ্নিত করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্র সরকার আবাস (Awas Yojana) প্রকল্পের টাকা না দেওয়ায় রাজ্য “বাংলার বাড়ি” প্রকল্প চালু (Banglar Bari) করে যার প্রথম প্রথম কিস্তির (1st Installment) টাকা গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে বিলি করে ১২ লক্ষ ভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে। ইতিমধ্যেই এই টাকা প্রদান পর্ব চলছে যা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রত্যেকের ব্যাংক একাউন্টে এই কিস্তির টাকা পৌঁছে যাবে। এর আগে গরিব মানুষের জন্য ৪৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি করেছে রাজ্য সেই সময়ে ভূমিহীনদের বাড়ি তৈরির জন্য জমি দেয় রাজ্য আর এবার তারও কোন ব্যতিক্রম হবে না বলেই রাজ্যের শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন: বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে নাম থাকলেও টাকা ঢুকবেনা! কেন ঢুকবে না ?
কাজেই দ্রুত যাতে এই ধরনের উপভোক্তাদের দিকে আর্থিক সহযোগিতা সহ জমি পাট্টা প্রদান করা যায় সেই লক্ষই এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।